ধনী দেশগুলো থেকে জলবায়ু ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী। ধনী দেশগুলো থেকে এ জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও আমাদের ভবিষ্যত, তারুণ্যের মুখোমুখি নীতিনির্ধারক’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই আলোচনা সভার আয়োজন করে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা। এতে সভাপতিত্ব করেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী। অথচ আজকে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যারা এ জন্য দায়ী (উন্নত দেশ), তাদের ওপর আমরা চাপ সৃষ্টি করছি এবং ক্ষতিপূরণ আদায় করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, এ জন্য আমাদের বনভূমিকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের আরও বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। তরুণ ও যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমানে আমাদের বনভূমির পরিমাণ ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, যেখানে ২৫ শতাংশ থাকার কথা। ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে বনভূমিকে ১৬ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, আমরা সামাজিকভাবে এলাকায় এলাকায় গাছ লাগাচ্ছি। রাস্তার পাশে গাছ লাগাচ্ছি। প্রতিষ্ঠানে গাছ লাগাচ্ছি। গত বছর জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা এক কোটি গাছ লাগিয়েছি। গত বছর আমরা প্রায় আট কোটি মতো গাছ লাগিয়েছি। এ বছর আমরা প্রায় সাত কোটি গাছ লাগিয়েছি। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গাছ লাগিয়ে যাচ্ছি। আপনারাও যে যেখানে পারেন গাছ লাগান।
এ সময় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারার বিষয়টি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামসহ কপ ২৬-এ বিশেষ গুরুত্বর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আদায়ের অংশ হিসেবে কপ ২৭-এর আওতায় একটি উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
মো. শাহাব উদ্দিন আরও বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর সরকার অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। পরিকল্পনাধীন ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে।