করোনায় কমেছে বৃদ্ধির হার এক বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ৭ কোটি
মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, এক বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েছে সাত কোটি ৪০ লাখ। সে হিসাবে ২০২১ সালের শেষে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি।
এর মধ্যে চীন ১৪০ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে বরাবরের মতো বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। ১৩৮ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তৃতীয় স্থানে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ৩৩ কোটি ২০ লাখ। এরপর যথাক্রমে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (২৭ কোটি ৫০ লাখ), পাকিস্তান ২৩ কোটি ৮০ লাখ, ব্রাজিল (২১ কোটি ৪৮ লাখ), নাইজেরিয়া (২১ কোটি ৪১ লাখ) ও বাংলাদেশ (১৬ কোটি ৭১ লাখ)।
গেল বছর বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। যা পূর্বাভাসের চেয়ে দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কম।
ধারণা করা হচ্ছে, করোনা মহামারির কারণে কমেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। তবে ১৯৬০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে কমেছে। ওই সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় দুই শতাংশ ছুঁয়েছিল।
মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরোর মতে, বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা এমন দেশগুলোতে বাস করে যেসব দেশে প্রজনন হার বেশি। তবে বতর্মানে একজন নারী তার জীবদ্দশায় গড়ে দুটির বেশি সন্তান জন্ম দিতে চান না। ফলে সামগ্রিকভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পাচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, বিশ্বের জনসংখ্যা ২১০০ সাল পর্যন্ত কোনো কোনো দেশ বা অঞ্চলে বাড়তে পারে। আগামী তিন দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্ধেকেরও বেশি শুধু আটটি দেশে কেন্দ্রীভূত হতে পারে। দেশগুলো হলো-কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, মিসর, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, তানজানিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ৫৫টি দেশ একই সময়ের মধ্যে তাদের জনসংখ্যা এক শতাংশ বা তার বেশি হ্রাস পাবে বলে আশা করছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে সবচেয়ে নাটকীয় পতন হবে বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও ইউক্রেনে। এসব দেশে ২০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ বলছে, ২১০০ সালের পর বিশ্বব্যাপী ৬৫-এর বেশি বয়সি জনসংখ্যা ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি যুবকদের মোট সংখ্যার চেয়ে বেশি হবে।