১ লাখ সদস্যের প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করছে তালেবান
তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমওডি) জানিয়েছে, ১ লাখ সদস্যের সমন্বয়ে একটি নতুন সামরিক বাহিনী গঠন করার চেষ্টা চলছে। এই প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ইসলামী আমিরাত বাহিনী তথা তালেবান সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারাজামি জানিয়েছেন, বাহিনী গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাহিনী গঠন শেষ হলে সদস্যদের স্কোয়াড্রন অর্থাৎ স্থল, ও আকাশ সীমানা সুরক্ষার দায়িত্বে পাঠানো হবে।
গত আগস্টে কাবুলে পশ্চিমা সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারের পতন হয়। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানের সাড়ে তিন লাখ জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীও ভেঙে যায়।
আশরাফ গনি সরকারের সাড়ে তিন লাখ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের মধ্যে দেড় লাখ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিলেন। তালেবান ক্ষমতায় আসলেও সাবেক কিছু নিরাপত্তা কর্মকর্তা চাকরিতে তাদের পূর্বের অবস্থানে আছেন।
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন ১ লাখ সদস্যের প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের জন্য ২০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে প্রয়োজনের আলোকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানের সামরিক বিশেষজ্ঞরা ইসলামিক আমিরাত সরকারকে, নতুন সামরিক বাহিনীতে সাবেক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা সমর সাদাত বলেন, সেনাবাহিনীকে মানসম্মত করা উচিত। বাহিনীকে সামরিক শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। তাদের একটি যথাযথ ইউনিফর্ম এবং সুবিন্যস্ত গঠন থাকা উচিত।
আজিজ মুজাদিদি নামে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষক বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীতে দেশের সব জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সাবেক সামরিক সদস্যরা যারা তাদের কর্মক্ষেত্রে পেশাদার ছিলেন তাদেরকে নতুন সামরিক ইউনিটে রাখা উচিত।
আফগানিস্তানের বর্তমান তালেবান সরকার নিরাপত্তা হুমকির কারণে সাবেক সশস্ত্র বাহিনীর যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তাদেরকে ফিরে এসে একটি উন্নত আফগানিস্তান গঠনের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।