হারিয়ে যাচ্ছে চবির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য :প্রশাসন ব্যর্থ « বিডিনিউজ৯৯৯নেট

হারিয়ে যাচ্ছে চবির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য :প্রশাসন ব্যর্থ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ জানুয়ারি, ২০২২ | ৭:৩৭
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ জানুয়ারি, ২০২২ | ৭:৩৭
Link Copied!

সবুজ পাহাড়ে ঘেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস যেন প্রকৃতির অনন্য সুন্দর আাশীর্বাদ।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহরের যান্ত্রিকতা ও কোলাহল থেকে অনেকটা দূরে অবস্থান করে দূষণমুক্ত একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অবয়ব সৃষ্টি করেছে।পাখির কলকাকলি ও বন্য প্রাণীর ডাক এই সৌন্দর্যকে যেন আরো বাড়িয়ে তোলে।কিন্তু এই সৌন্দর্য দিনের পর দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।প্রতিনিয়তই দূষিত হচ্ছে প্রাকৃতিক নৈসর্গিক পরিবেশ।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশে বসবাসরত মানুষের নিত্যব্যবহার্য পরিত্যক্ত সামগ্রী উদাসীন মনোভাবের কারণে যত্রতত্র ফেলে পরিবেশ দূষিত করছে।তাছাড়া বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনের কাগজ, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রার্থীদের ব্যানার,লিফলেট, রাজনৈতিক দলের পোস্টার, জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পোস্টার, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পোস্টার,বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের পিলার,দেয়াল,আবার বিভিন্ন অনুষদে,বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দেখা যায়।বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আবাসিক হলগুলোতে চিকা মারা, রাজনৈতিক নেতার অনুসারীদের ছবি অংকন করতে দেখা যায়।এ ছাড়াও আবাসিক হলে ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের আধিপত্যকে পুজি করে কক্ষের দরজা,কক্ষের ভিতরে গ্রুপের নাম,চিকা মারা,বিভিন্ন মনিষীদের বাণী লিখে সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে। অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখল,বৃক্ষ কর্তন,মাটি কাটার ফলে বর্ষাকালে পাহাড় ধসের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কোন ডাস্টবিন না থাকায় আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীদের ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র পচে দূর্গন্ধ ছড়ায়। ডাস্টবিনের অভাব থাকায় পরিত্যক্ত সামগ্রী পুড়ানোর ফলে সৃষ্ট কালো ধোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে। অনেক সময় মৃত বন্যপ্রাণী আবাসিক হল,রাস্তার পাশে পড়ে থাকে, ।যেটা থেকে দূর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের বিভিন্ন অশালীন কার্যকলাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সবসময় উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়। ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য বর্ধক কমিটি থাকা সত্বেও তাদের কোন কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায় না।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড.শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি কমিটি গঠন করে দিব তদারকি করতে।তাছাড়া আমরা ক্যাম্পাসের অপ্রয়োজনীয় পোস্টার সরিয়ে ফেলতে। সৌন্দর্য বর্ধক কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন,আমরা তাদের সাথে আলোচনা করে নতুন করে কমিটি গঠন করে দিব।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য রক্ষার বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যার অধ্যাপক ড.আতিকুর রহমান বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় মানে এখানে মুক্ত জ্ঞানের চর্চা হবে।ক্লাসের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীরা বেশি শিখে।উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে খুব তৎপর।তারা ছাত্র ছাত্রীদের একটা মানানসই শিক্ষার পরিবেশ দিতে পারে।আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এদিক থেকে ব্যর্থ।

প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন,প্রশাসন এ ব্যাপারে একটু কঠোর হতে পারে।কিছু আর্থিক জরিমানা করতে পারে। আবার পুলিশি অভিযান চালানো যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বিষয়ঃ

সর্বশেষ: