লকডাউনে চীনের আরেকটি শহর
মাত্র তিনজন উপসর্গহীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের পর ১১ লাখ মানুষের আরেকটি শহরে লকডাউন জারি করেছে চীন। ইউঝু নামের শহরটির পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অত্যাবশ্যক খাবারের দোকান ছাড়া সবকিছু। ২৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ লাখ বাসিন্দার জিয়ান শহরে লকডাউন চলছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
চীনা নতুন বর্ষ ও বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন অলিম্পিকের আগে সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলো। অলিম্পিক শুরু হতে এখনও একমাস বাকি। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেছেন চীন একটি কার্যকর ও দক্ষ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে হাজারো কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক মঙ্গলবার থেকে বাবলে প্রবেশ করেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে বাইরের কারও সঙ্গে তাদের শারীরিক সংস্পর্শ থাকবে না। অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও চীনে অবতরণের পর বাবলে প্রবেশ করতে হবে। যতদিন চীনে অবস্থান করবেন বাবলে থাকতে হবে ততদিন।
বেইজিং থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইউঝু শহর। কর্মকর্তারা বলছেন, স্বল্প সময়ে মহামারি ঠেকানো ও নিয়ন্ত্রণে রাখা নাগরিক ও সরকারি কর্মীদের উচ্চ অগ্রাধিকারের রাজনৈতিক কাজ।
শহরের সব বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। শুধু যারা রোগ ঠেকানোর কাজে নিয়োজিত তারা বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাবেন।
জিয়ান শহরেও এমন ব্যবস্থা দুই সপ্তাহ ধরে জারি করা হয়েছে। সোমবার ৯৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণের সর্বোচ্চ অবস্থায় প্রতিদিন ১৫০ জন শনাক্ত হয়েছেন।
কঠোর লকডাউনে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত হলেও স্থানীয়দের খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মানুষ বাধ্য হয়ে খাবারের জন্য বিভিন্ন পণ্য বিনিময় করছেন।