বিএনপির গণসমাবেশে নেই শরিক দলগুলো « বিডিনিউজ৯৯৯নেট

বিএনপির গণসমাবেশে নেই শরিক দলগুলো

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ অক্টোবর, ২০২২ | ১২:২১
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ অক্টোবর, ২০২২ | ১২:২১
Link Copied!

সারাদেশে গণসমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসমর্থন আদায়ের জন্য এ কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, বৃহত্তর আন্দোলন করে পরবর্তী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে করা হবে।

তবে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে তাদের জোট শরিক কোনো দলের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। দশটি সাংগঠনিক বিভাগে প্রতি সপ্তাহে গণসমাবেশ পালনের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও ২২ অক্টোবর খুলনায় সমাবেশ করে তারা। আজ শনিবার রংপুরে দলটির গণসমাবেশ। তাদের বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষ হবে ঢাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে।

এককভাবে সমাবেশ করে দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি এখন রাজপথে নিজেদের শক্তি দেখাতে চাইছে। বিএনপির গণসমাবেশের মঞ্চে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকছেন। সমাবেশে অংশ নিচ্ছে স্থানীয় নেতা কর্মীসমর্থকরা। গণসমাবেশে দলটির জোট বা সমমনা কোনো দলের ব্যানারে কোনো মিছিল দেখা যাচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকর্মীকেও এই সমাবেশে দেখা যায়নি। যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের নিয়ে বিএনপির ভেতরে এবং বাইরে সমালোচনা আছে। আছে অস্বস্তিও।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে আন্দোলন করা রাজনৈতিক কৌশলেরই অংশ কি না সেটি নিয়ে সমালোচনা চলছে।

কেন জোট শরিকদের ডাকা হচ্ছে না— এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন জোটবদ্ধ আন্দোলন না করে এককভাবে আন্দোলন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিএনপি তার নিজের শক্তিতে বলীয়ান। আমরা নেতাকর্মীদের সবার মতামত নিয়েই একা শুরু করেছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘গণ অভ্যুত্থানের জন্য আমরা তৈরি হচ্ছি। গণ অভ্যুত্থানের জন্য আমরা তৈরি হচ্ছি। রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে আমরা যেটা করলে বেটার, সেটাই করছি।’

‘১০ ডিসেম্বরের পর থেকে আমাদের যুগপৎ আন্দোলন শুরু হবে।’-যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেন, ‘এই সমাবেশের উদ্দেশ্য এককভাবে বিএনপিকে শক্তিশালী করা। বিএনপির নিজের যে অঙ্গসংগঠনগুলো আছে, আমাদের যে নেতাকর্মীরা আছে তাদেরকে নিজেদের শক্তিতে বলীয়ানতো হতে হবে। তারপরে আমাদের সঙ্গে যারা আসবে, তারা অফকোর্স ওয়েলকাম। কিন্তু প্রথমে বিএনপিকে নিজের শক্তিতে দাঁড়াতে হবে। সেটাই আমরা করছি।”

চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নির্বিঘ্নে হলেও ময়মনসিংহ ও খুলনার সমাবেশের আগে ধর্মঘট ডাকেন বাস মালিকরা। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিএনপির অতীতের নানা কর্মসূচিতে বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ভয়ে মালিকরা বাস বন্ধ রাখছে, এতে সরকারের হাত নেই।

বিএনপি যখন সরকারে ছিল, তখন ২০০৫ ও ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নানা কর্মসূচির আগেও এভাবে বাস বন্ধ হয়ে যেত, গণগ্রেপ্তার ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সমাবেশে আসা ঠেকাতে হামলাও ছিল এক নিয়মিত ঘটনা। দেড় যুগ পরও বাস বন্ধের এই রীতি রয়ে গেছে। সে সময় আওয়ামী লীগের নেতারা যেসব অভিযোগ করতেন, এখন বিএনপির নেতারা সেসব কথা বলছেন।

বিষয়ঃ

সর্বশেষ: