ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক ১১ কিলোমিটার সড়কে ১২ বছরের দুর্ভোগ « বিডিনিউজ৯৯৯নেট

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক ১১ কিলোমিটার সড়কে ১২ বছরের দুর্ভোগ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২২ | ১১:৫৬
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২২ | ১১:৫৬
Link Copied!
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক ১১ কিলোমিটার সড়কে ১২ বছরের দুর্ভোগ -- বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

মামলাসহ নানা জটিলতায় গত এক যুগে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের দীর্ঘ ১১ কিলোমিটার অংশে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বর্তমানে কলাপাড়া উপজেলার পাখিমাড়া বাজার থেকে মহিপুর পর্যন্ত এ সড়কে আবারও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে কুয়াকাটায় আগত পর্যটক ও এ সড়কে চলাচলকারী পরিহন মালিক শ্রমিকরা।

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য মতে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২০০৯ সালে ২২ কিলোমিটার সড়ক নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ২২ কিলোমিটার সড়কের ১১ কিলোমিটার অংশের নির্মাণকাজ করে দি রুপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজের মান ও বিল নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। এ জটিলতা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। বর্তমানে হাইকোর্টে মামলাটি এখনও চলমান।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নতুন করে আর নির্মাণকাজ করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ফলে বছর বছর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় জোড়া তালি দিয়ে সড়কটি চলাচল উপযোগী রাখার চেষ্টা করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
৫ নং নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, পাখিমাড়া থেকে মহিপুর পর্যন্ত এ সড়কে ভোগান্তি তো আজকের না, বছরের পর বছর এ ভোগান্তি চলছে। বিভিন্ন সময় রাস্তায় পট্টি মারার কারণে এ সড়কে গাড়ি চালাতে ঝাঁকুনি খেতে হয়। এখন আবার বড় বড় গর্ত হয়েছে। মামলা শেষ না হলে এ সড়ক ঠিক হচ্ছে না। পদ্মা সেতু চালুর পর গাড়ির চাপও বাড়ছে, কিন্তু রাস্তা তো বাড়েনি।
এ সড়কে চলাচল করতে সব থেকে বেশি বিড়ম্বনায় পরতে হয় মোটরসাইকেল এবং তিন চাকার যানবাহন চালকদের। বিশেষ করে সড়কের মধ্যে বিভিন্ন স্থান ছোট বড় গর্ত থাকায় এসব যানবাহনকে গর্ত এড়িয়ে চলতে হয়। এতে করে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
অটোরিকশা চালক হাবিব খলিফা জানান, মাঝে মধ্যেই অটোরিকশা উল্টে যায়। ভাঙা জায়গা এড়িয়ে চলতে গিয়ে যাত্রীদের অটো থেকে ছিটকে পরার ঘটনাও ঘটছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাসুদ খান জানান, সমস্যা সমাধানে তারা কাজ করছেন। দ্রুত ঠিকাদার ও অধিদপ্তরের মধ্যে বিরোধ আদালতের মাধ্যমে নিস্পত্তি ঘটবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে সম্প্রতি বর্ষায় বৃষ্টির কারণে সড়কে যেসব খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো মেরামতে তারা উদ্যোগ নিচ্ছেন।

পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার এবং কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দূরত্ব ২৭০ কিলোমিটার। পুরো ২৭০ কিলোমিটার সড়কে এ ১১ কিলোমিটার ছাড়া বাকি সড়ক যথেষ্ট ভালো রয়েছে। আর পদ্মা সেতু চালুর হওয়ার পর থেকে এ সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে অনেক।

বিজ্ঞাপন

বিষয়ঃ: