গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেলেন নেইমার
সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে বিশ্বকাপ অভিযানটা দুর্দান্তভাবে শুরু করেছে ব্রাজিল। কিন্তু এমন জয়ের রাতে দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে নেইমারের চোট। তাৎক্ষণিকভাবে অবশ্য ক্ষতিটা টের পাওয়া যায়নি। টের পাওয়া গেছে ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমে যাওয়ার পথে, যখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে প্রবেশ করলেন নেইমার।
ম্যাচ শেষে জানা গিয়েছিল, গোড়ালি মচকে গেছে নেইমারের। শঙ্কা আছে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার। আজ জানা গেছে, বিশ্বকাপ নয় গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেছেন দলটির তারকা ফুটবলার। তাঁর সঙ্গে ছিটকে গেছেন দানিলোও। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার।
বিবিসি, আর্জেন্টিনার ওলে ও স্পেনের মার্কা লাসমার জানিয়েছে, গোড়ালির চোটে পড়ে গ্রুপ পর্বের বাকি দুটি ম্যাচ খেলা হবে না নেইমারের। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক লাসমার বলেছেন, ‘নেইমার ও দানিলোর এমআরআই হয়েছে শুক্রবার (গতকাল)। দুজনের অ্যাঙ্কেলেই লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। এখানে শান্ত থাকা জরুরি। প্রতিদিন এটি পর্যালোচনা করতে হবে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে টুর্নামেন্টের বাকি অংশে তাদের ফিরে পাওয়া।’
গতকাল রাতে সার্বিয়ান ডিফেন্ডার নিকোলা মিলেনকোভিচের ট্যাকলের পর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ৭৯ মিনিটে মাঠ ছাড়েন নেইমার। ট্যাকলটা হয়েছিল ম্যাচের ৬৭ মিনিটে। ১২ মিনিট ব্যথা নিয়ে খেলে যাওয়ার চেষ্টা করে গেছেন। বদলি হওয়ার পর যখন ডাগআউটে বসলেন, তখন তাঁর ব্যথা কাতর চেহারাই বলে দিয়েছে, ভীষণ রকম একটা আঘাত তিনি পেয়েছেন।
ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের চোখে ভেসে উঠতে শুরু করেছে ২০১৪ বিশ্বকাপে কলম্বিয়া ম্যাচের সেই দৃশ্য। জুনিগার বাজে ট্যাকলে মেরুদণ্ডে পাওয়া চোটে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছিল নেইমারের। এতে এক রকম শেষ হয়ে যায় ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্বপ্নও।
২০১৮ বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষেও ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। যদিও সেটি গুরুতর ছিল না। পরশু সার্বিয়ার বিপক্ষে ৯ বার ফাউলের শিকার হয়েছেন ব্রাজিলের ‘নাম্বার টেন’। কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ড এটি।