রাজশাহীর হোসনীগঞ্জে বসতবাড়ি ভাঙচুর-টাকা লুটপাট-থানায় অভিযোগ
মোঃ মেহেদী হাসান, রাজশাহী মহানগর প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগরীর হোসনীগঞ্জ এলাকার মোছাঃ মালা সিদ্দিকা (৪০) তার স্বামী মোঃ রুহুল আমিন'র বসতবাড়িতে টাকা লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ভাংচুর ও টাকা লুটপাটের বিষয় নিয়ে মোছাঃ মালা সিদ্দিকা(৪০) বাদী হয়ে ০৯-১০-২২ ইং তারিখে ০৬ জনকে আসামি করে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে লেখা হয় বিবাদী ১. মোঃ রিশাত(২৪), ২. মোঃ শাকিল (৩২) উভয়ের পিতা মোঃ নাজির, ৩. মোছাঃ নাসরিন (৩৩) তার স্বামী মোঃ রিশাত, ৪. মোঃ রিদয় (২০), ৫. মোঃ সজিব(১৮) যার পিতা মোঃ রিশাত, ৬.মোঃ বকুল (৩৭) তার পিতাঃ অজ্ঞাত সর্বসাং হোসনীগঞ্জ, থানা- বোয়ালিয়া, মহানগর রাজশাহী গন পূর্বের শত্রুুতার জের ধরে আজ সকাল ১১.০০ টার সময় আমার ছেলে মিম কে চোর সন্দেহ করে বাসায় গায়ের জোরে ভিতরে প্রবেশ করে মীম কে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র যেমন - হকিস্টিক, পাইপ, রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে এবং ঘরবাড়ির জিনিস পত্র ভাঙচুর করে যার আনুমানিক মূল্য (৩০.০০০) টাকা এবং ভুক্তভোগীর কাছে থাকা নগদ (২০.০০০) টাকা ছিনিয়ে নেই। তখন বাদী টাকা দিতে অস্বীকার করলে একসাথে পরিবারের সকল লোকজন কে কিছু না দেখে এলোপাতাড়ী ভাবে মারধর করতে থাকে। তখন ভুক্তভোগী পরিবার গুরুতর আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভুক্তভোগীর পক্ষে সাক্ষী দিতে তার পরিবার সহ ভুক্তভোগী নিজেই উদ্দ্যত হয়েছেন। ভুক্তভোগী মোছাঃ মালা সিদ্দিকা বিবাদী নিশাত ও তার দলবলের আঘাতে তার পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং তার বুড়ো আঙুলে রক্তাক্ত হয়। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী রামেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সরাসরি নগরীর বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং বিষয়টি গভীর তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিবেন বলেও তিনি ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে আশা ব্যক্ত করেন।